স্বীকারোক্তি না দিলে আসামি দিহান এর রিমান্ড চাইবে পুলিশ

রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমপড়ুয়া স্কুলছাত্রী আনুশকা নুর আমিনকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যা মামলার একমাত্র আসামি তানভীর ইফতেখার দিহানকে (১৮) আদালতে নেওয়া হয়েছে।

স্বীকারোক্তি না দিলে আসামি দিহান এর রিমান্ড চাইবে পুলিশ

রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমপড়ুয়া স্কুলছাত্রী আনুশকা নুর আমিনকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যা মামলার একমাত্র আসামি তানভীর ইফতেখার দিহানকে (১৮) আদালতে নেওয়া হয়েছে। 

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দিহানকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নিয়েছে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেই কলাবাগান থানায় দীহানকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় একটি মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা।

শুক্রবার দুপুরে নিউমার্কেট অঞ্চল পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান গণমাধ্যমে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দিলে পুলিশ আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে।

পুলিশ জানিয়েছে স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আটক বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মেয়েটির লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

নিউমার্কেট অঞ্চলের পুলিশ বলেছে, গতকাল দুপুরে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক তরুণ এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন। কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে। তখন নিউমার্কেট অঞ্চল পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান ওই তরুণকে আটকে রাখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। এরই মধ্যে কলাবাগান থানার পুলিশ আনোয়ার খান হাসপাতালে গিয়ে ওই তরুণকে আটক করে। খবর পেয়ে তরুণটির তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাঁদেরও আটক করে। নিহত ছাত্রী ও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা শহরের নামী স্কুলের শিক্ষার্থী।

পুলিশের এসি আবুল হাসান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তানভীর ইফতেখার দিহান জানান, মেয়েটি তাঁর পূর্বপরিচিত। কলাবাগানের ডলফিন গলিতে তাকে তাঁর বাসায় নিয়ে যান তিনি। এ সময় ছেলেটির পরিবারের কেউ বাসায় ছিল না। একপর্যায়ে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, কৌশলে মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

                  ডিসি রমনার বক্তব্য