‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব এত বড় ধ্বংসযজ্ঞ দেখেনি’ : জাতিসংঘ

‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব এত বড় ধ্বংসযজ্ঞ দেখেনি’ : জাতিসংঘ

গাজায় ইসরাইল যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন যা বিশ্ব কখনও এত বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ দেখেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের উপ মহাসচিব ও ইউএনডিপির আরব দেশগুলো বিষয়ক পরিচালক আব্দাল্লাহ আদ-দারদারি।

তিনি আরও বলেন, গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনে ৪০ বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয় হবে এবং এর কাজ শেষ করতে ৮০ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

জাতিসংঘের উপ মহাসচিব ও ইউএনডিপির আরব দেশগুলো বিষয়ক পরিচালক আব্দাল্লাহ আদ-দারদারি জর্দানের রাজধানী আম্মানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

আব্দাল্লাহ আদ-দারদারি সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ইসরাইলি হামলায় গাজার শতকরা ৭২ ভাগ আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ বা আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। “আমরা প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলাম ৩০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে গাজার পুনর্গঠন করা সম্ভব হবে কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এই খরচ ৪০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। “গাজায় ধ্বংসের মাত্রা বিশাল ও নজিরবিহীন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব আর কখনও এত বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ দেখেনি।”

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, ইসরাইলি হামলায় গাজায় তিন কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়েছে। আনুমানিক এই পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং তা চার কোটি টনে পৌঁছাতে পারে। তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় গাজার পুনর্গঠন করতে গেলে দশকের পর দশক সময় লেগে যাবে।

এর আগে এক বক্তব্যে ইউএনডিপির এই কর্মকর্তা বলেছিলেন, ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে সেখানে বাসযোগ্য আবাসিক ইউনিট তৈরি করতে ৮০ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। গাজার ওপর এর আগে চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধগুলোর পর পুনর্গঠনের গতি থেকে বিশেষজ্ঞরা এ ধারনা করছেন বলে তিনি জানান।