এবার বাতিল হচ্ছে জিয়াউর রহমানের ‘মুক্তিযোদ্ধা খেতাব’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি)’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘মুক্তিযোদ্ধা খেতাব’ বাতিলের সিদ্ধান্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জামুকার সদস্য শাজাহান খান।

এবার বাতিল হচ্ছে জিয়াউর রহমানের ‘মুক্তিযোদ্ধা খেতাব’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি)’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘মুক্তিযোদ্ধা খেতাব’ বাতিলের সিদ্ধান্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জামুকার সদস্য শাজাহান খান।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির ৭২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শাজাহান খান জানান, জামুকার বৈঠকে জিয়াউর রহমানের নামে পাশে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গণমাধ্যমকে শাজাহান খান আরও বলেন, ‘স্মরণীয়-বরণীয় ব্যক্তিদের তালিকা থেকে খন্দকার মোশতাকের নাম বাতিল করা হয়েছে। এ ধরনের আরও ব্যক্তির নাম পাওয়া গেলে পর্যায়ক্রমে বাদ দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘জিয়াউর রহমানসহ যে পাঁচজনের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা রাজনৈতিক কারণে নয়। দালিলিক প্রমাণ থাকায় এমন আলোচনা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত উপকমিটির পরবর্তী বৈঠকে বঙ্গবন্ধু হত্যায় কার কী ভূমিকা আছে, তা দালিলিক প্রমাণসহ প্রস্তাব করা হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘খেতাব বাতিলের এমন নজির শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও আছে। অনেকের কর্মকাণ্ডের জন্য সম্মানসূচক খেতাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।’

সরকারের খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট অনুসারে জিয়াউর রহমানের নামের পাশে ‘বীর উত্তম’ খেতাব রয়েছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়ার পাশাপাশি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খানের খেতাব। সিদ্ধান্তগুলো সুপারিশ আকারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান শাজাহান খান।

এছাড়া এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বহালের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান শাজাহান খান। এর আগে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াহিদুর রহমান ও হাফিজুর রহমান মুন্সীর গেজেট ও সনদ বাতিল করেছিল মন্ত্রণালয়।

সরকারের খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট অনুসারে জিয়া ছাড়া শরিফুল হক ডালিম ‘বীর উত্তম’, নূর চৌধুরী ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন খান ‘বীর প্রতীক’ ছিলেন।

প্রকৌশল নিউজ/এস