জিয়ার ‘মুক্তিযোদ্ধা খেতাব’ বাতিল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি)’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘মুক্তিযোদ্ধা খেতাব’ বাতিল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশব্যাপি দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

জিয়ার ‘মুক্তিযোদ্ধা খেতাব’ বাতিল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি)’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘মুক্তিযোদ্ধা খেতাব’ বাতিল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশব্যাপি দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামী শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকাসহ দেশের সব মহানগরে এবং পরদিন রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দেশের সব জেলা সদরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানকে ‘বীর উত্তম‘ খেতাব দেওয়া হয়েছিল। গত মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সভায় সেই খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি বলছে, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে করা হয়েছে।

তবে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।  এ সময় তিনি বলেন, খবরটা অনেকেই হয়তো ঠিকমতো পরিবেশন করেন নাই। বঙ্গবন্ধুর চার হত্যাকারীর বিরুদ্ধে আদালতে রায় ঘোষিত হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রীয় সনদ বা সম্মাননা  সেটা বাতিল করা হয়েছে। আরো ৪ জনের নাম এসেছে দালিলিক প্রমাণসহ। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এদের মধ্যে জিয়াউর রহমান, খন্দকার মোশতাক, মাহবুবুল আলম চাষী রয়েছেন। সেজন্য আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি, আগামী সভায় এ বিষয়ে কী কী দালিলিক প্রমাণ আছে সেটা দাখিল করার জন্য। এবং তাহলে তাদের সম্মাননা বাতিল করা হবে।

প্রকৌশল নিউজ/এস