বিএনপি সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে যুবলীগের কর্মীরা প্রস্তুত: নিখিল

বিএনপি-জামায়াত আজকেও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মানুষের জানমালের ওপর হামলা করছে। তাই দেশের সব এলাকায় বিএনপি সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে যুবলীগের কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। 

বিএনপি সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে যুবলীগের কর্মীরা প্রস্তুত: নিখিল

বিএনপি-জামায়াত আজকেও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মানুষের জানমালের ওপর হামলা করছে। তাই দেশের সব এলাকায় বিএনপি সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে যুবলীগের কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। 

বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের সামনে ‘গণতন্ত্রের বিষয় দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মিছিলটি গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

তিনি আরও বলেন, যুবলীগ মনে করে বিএনপি-জামায়াত একটি জঙ্গি সংগঠন, সন্ত্রাসী সংগঠন। বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্র হত্যাকারী একটি সংগঠন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে। বেগম খালেদা জিয়া সর্বশেষ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন। বিএনপি-জামাত গণতন্ত্রের নামে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। 

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলেন। তারা কোন গণতন্ত্রের কথা বলেন? কোন গণতান্ত্রিক অধিকারে আপনি সেদিন পেট্রোল বোমা হামলা করেছিলেন, জবাব চাই। জবাব দিতে হবে বাংলার মাটিতে, নয়তো বাংলার যুব সমাজ শেখ পরশের নেতৃত্বে দাঁত ভাঙা জবাব দিবে। 

বিএনপিকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আজকে এই সমাবেশ থেকে পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই, প্রেসক্লাবে আপনারা সমাবেশ করছেন, কিসের সমাবেশ? গণতন্ত্র হত্যার সমাবেশ? আমি প্রশ্ন করতে চাই, গণতন্ত্রের মানে কি আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা? গণতন্ত্র মানে কি আমার স্বাধীনতাকে হরণ করা? প্রেসক্লাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। পুলিশের সাথে বিশৃঙ্খলা করেছেন। গণতন্ত্রের মানে কি মিছিল-মিটিং থেকে যানবাহনের ওপরে আক্রমণ করা? 

দেশে গণতন্ত্র আছে দাবি করে যুবলীগের এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র আছে বলেই টিভি টকশোতে বাংলার দুঃখী মানুষের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলছেন আপনারা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অধীনেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। করোনার এই সময়ও আপনারা মানুষের পাশে না থেকে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। গণতন্ত্রের প্রতি, মানুষের প্রতি যদি আপনাদের ভালোবাসাই থাকতো, তাহলে মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। আপনাদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখিনি।

তিনি আরও বলেন, ৩০ ডিসেম্বর দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আমার নেত্রীকে সমর্থন দিয়েছিলেন বলেই নৌকা প্রতীক আজকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। প্রিয় নেত্রী রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। সমুদ্রে তলদেশ থেকে মহাকাশে বাংলাদেশের পতাকা পতপত করে উড়ছে।

যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবনের সভাপতিত্বে সমাবেশ বক্তব্য রাখেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন,  ঢাকা দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুসহ অন্যরা।