পুলিশ কনস্টেবলের পেনশনের টাকা আত্মসাৎ!

পেনশনসহ অবসরসূত্রে পাওয়া পুলিশের এক কনস্টেবলের সব সঞ্চয় এক ব্যক্তি আত্মসাৎ করেন। টাকা ফেরত চাওয়ায় নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন ওই ব্যক্তি। বিভিন্ন মানুষের কাছে সহযোগিতা চাইলেও টাকা উদ্ধার করতে পারেননি। উপায় না পেয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মি‌ডিয়া এন্ড পাব‌লিক রি‌লেশন্স বিভাগে অভিযোগ করেন পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ওই কনস্টেবল। পরে পুলিশের সহায়তায় টাকা ফেরত পান তিনি।

পুলিশ কনস্টেবলের পেনশনের টাকা আত্মসাৎ!

পেনশনসহ অবসরসূত্রে পাওয়া পুলিশের এক কনস্টেবলের সব সঞ্চয় এক ব্যক্তি আত্মসাৎ করেন। টাকা ফেরত চাওয়ায় নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন ওই ব্যক্তি। বিভিন্ন মানুষের কাছে সহযোগিতা চাইলেও টাকা উদ্ধার করতে পারেননি। উপায় না পেয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মি‌ডিয়া এন্ড পাব‌লিক রি‌লেশন্স বিভাগে অভিযোগ করেন পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ওই কনস্টেবল। পরে পুলিশের সহায়তায় টাকা ফেরত পান তিনি।

শনিবার পুলিশ সদর দপ্তরের মি‌ডিয়া এন্ড পাব‌লিক রি‌লেশন্স বিভাগের এআইজি মো. সোহেল রানা এতথ্য জানিয়েছেন।

সোহেল রানা জানান, ২০১৭ সালে পুলিশ বাহিনী থেকে অবসর নেওয়া এক কনস্টেবল কুড়িগ্রাম জেলা থেকে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগকে জানান, পেনশনসহ অবসরসূত্রে প্রাপ্ত তার যা কিছু সঞ্চয় ছিল প্রতারণামূলকভাবে এক ব্যক্তি তা আত্মসাৎ করেছে। এখন পরিবার নিয়ে তার পথে বসার উপক্রম। জীবনের শেষ সম্বল সঞ্চয়ের এই অর্থ পেতে তিনি বিভিন্ন জনের কাছে গেলেও টাকা ফেরত পাননি। আত্মসাৎকারী ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে তাকে নানাভাবে হেনস্থা করেছেন এবং বাড়াবাড়ি না করতে হুমকিও দিয়েছেন। প্রক্রিয়াগত দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তিনি মামলা না জড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। পরে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে বার্তা পাঠিয়ে সহযোগিতা চান তিনি।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বগুড়ার শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুনকে নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে। অভিযোগ সঠিক হলে ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যকে উপযুক্ত আইনি সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। শাহজাহানপুর থানার ওসি এ বিষয়ে অভিযুক্তের এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও অভিযুক্তের অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করেন। এর ফলে শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টি সমাধান হয়।

অভিযোগকারী পুলিশ সদস্য ইতোমধ্যে তার অর্থের একাংশ বুঝে পেয়েছেন। অবশিষ্ট টাকা শিগগিরই পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। সমস্যার সামাধান পেয়ে বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানান অবসরপ্রাপ্ত ওই পুলিশ কনস্টেবল।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস