বিনামূল্যে করোনা টিকা সরবরাহের দাবি জি এম কাদেরর

বিনামূল্যে করোনা টিকা সরবরাহের দাবি জি এম কাদেরর

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, সরকার করোনা প্রতিরোধে তিন কোটি ভ্যাকসিন বুকিং দিয়েছে।  কিন্তু দেশের মানুষ জানেনা তিন কোটি টিকা তিন কোটি মানুষ পাবেন নাকি দেড় কোটি মানুষ দুটি করে টিকা পাবেন। তিনি বলেন,  দেশের বাকি ১৪ থেকে ১৫ কোটি মানুষ কিভাবে টিকা পাবেন তা সরকারকেই পরিস্কার  করতে হবে। নকল টিকায় যেন সয়লাব না হয়, ভ্যাকসিন নিয়ে যেন কোন প্রতারণা না  হয় সেজন্য সরকারকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি। 

দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান-এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।   

তিনি বলেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে  কোন মহল যেন বাণিজ্য করতে না পারে সেজন্য সচেষ্ট থাকতে হবে।  বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে তারা তাদের দেশের মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।  এমন বাস্তবতায় আমাদের দেশের ৯০ ভাগ মানুষ পয়সা খরচ করে টিকা নিতে পারবেনা।  তাই দেশের সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ করতে হবে।  টিকা সংরক্ষণ ও  পরিবহনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি।  

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, শোষণ, বৈষম্য, জুলুম আর নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো। 

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশের মানুষ কী  স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পেরেছেন? তিনি বলেন, ৭মার্চ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার  সংগ্রাম’। 

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু মুক্তির জন্য স্বাধীনতার  ডাক দিয়েছিলেন।  আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু মুক্তি পাইনি।  এখনো সমাজে  বৈষম্য ও বঞ্চনা বিদ্যমান।  ৯১ পরবর্তী সরকারগুলোর শাসনামলে সরকারি দল না করলে চাকরি মেলেনা, ব্যবসা মেলেনা, অন্যায় করলে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়না।  সুশাসন ও আইনের শাসনের অভাবে সবার জন্য সমানভাবে আইন  প্রয়োগ হয় না।  অথচ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর শাসনামলে সামাজিক বৈষম্য ছিলনা, জীবনের নিরাপত্তার অভাব ছিলনা। 

তিনি বলেন, সরকারী কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছেন।  চাকরী, ব্যবসা ও আইনের চোখে সবাই সমান ছিলো।  কোন দলবাজী ছিলনা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নয় বছরের শাসনামলে।  পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাধীনতার স্বাদ গণমানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে কাজ করেছেন।  আমরা পল্লীবন্ধর আদর্শে নতুন বাংলাদেশ গড়ে  স্বাধীনতার সুফল গণমানুষের মাঝে পৌছে দেবো।  শোষণ, বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিতেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক ও চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ রহমান, এড. মোঃ  রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আক্তার, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া দলের নেতা-কর্মীরা। 

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের পক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে  পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।  এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ  রহমান, এ্যাড. মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আক্তার এমপি, এমরান হোসেন মিয়া দলের নেতা-কর্মীরা।