ভবানীপুর উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতলেন মমতা

অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুরে বিধানসভা উপ-নির্বাচনে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের বিশাল ব্যবধানে জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মসনদ তার দখলেই থাকছে। সেই সঙ্গে ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন দিদি।

ভবানীপুর উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতলেন মমতা

অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুরে বিধানসভা উপ-নির্বাচনে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের বিশাল ব্যবধানে জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মসনদ তার দখলেই থাকছে। সেই সঙ্গে ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন দিদি।

ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় গত বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর)। রোববার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন মমতা। গণনা যত এগোয়, মমতার ভোটের ব্যবধান তত বাড়ে।

২১ রাউন্ড গণনা শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৮৪৭০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ২৬৩২০ ভোট। বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসের ভোট ৪২০১। ২০১১ সালের থেকেও এবার বড় ব্যবধানে জিতলেন মমতা।

এই উপ-নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা আর থাকতে পারছেন কিনা তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেইআলোচনা চলছিল। রোববার (৩ অক্টোবর) ভোটের ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে সেই ভাবনার অবসান ঘটলো।

নন্দীগ্রামে হেরেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে কোনো আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হতে হতো তাকে। পদ টিকিয়ে রাখতে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে লড়েন তিনি।

গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসনে জয়ী হয়েছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য হয়।

যদিও জয়ের ব্যাপারে মমতা ও তার দল নির্ভার ছিল, তারপরও এই ভোটের ফলেই নির্ভর করেছে অনেক কিছু। মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে জয় ছাড়া তার কাছে কোনো বিকল্প ছিল না।

৫৭ শতাংশেরও বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন ভবানীপুর উপ-নির্বাচনে। গত ২৬ এপ্রিলের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ। তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের ব্যবধানে।

২০১১ সালেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এ কেন্দ্র থেকেই উপ-নির্বাচনে জিতেছিলেন মমতা। সেবার ভোট পড়েছিল ৪৫ শতাংশেরও কম। মমতা জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে। ভবানীপুরে এবার মোট প্রার্থী ছিলেন ১২ জন। নির্বাচনে বিজেপি থেকে মমতার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল।

প্রকৌশলনিউজ/সু