লকডাউনের ৮ম দিন : বাইরে নগরবাসী, ব্যক্তিগত গাড়ীর চাপ বেশী

চলমান লকডাউনের অষ্টম দিনে নানা অজুহাত দেখিয়ে ঘরের বাইরে আসছেন নগরবাসী। ব্যক্তিগত গাড়ীর সংখ্যা অন্য যেকোন দিনের তুলনায় বেশী। সড়কের চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই যে, দেশে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। আপরদিকে, কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করলেও ব্যাংক, বীমা, শেয়ারবাজার, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা চালু রয়েছে। কর্মজীবী মানুষকে প্রতিদিন অফিসে ছুটতে হচ্ছে।

লকডাউনের ৮ম দিন : বাইরে নগরবাসী, ব্যক্তিগত গাড়ীর চাপ বেশী

চলমান লকডাউনের অষ্টম দিনে নানা অজুহাত দেখিয়ে ঘরের বাইরে আসছেন নগরবাসী। ব্যক্তিগত গাড়ীর সংখ্যা অন্য যেকোন দিনের তুলনায় বেশী। সড়কের চিত্র দেখে বোঝার উপায় নেই যে, দেশে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। আপরদিকে, কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করলেও ব্যাংক, বীমা, শেয়ারবাজার, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা চালু রয়েছে। কর্মজীবী মানুষকে প্রতিদিন অফিসে ছুটতে হচ্ছে।

একদিনে রেকর্ড দুই শতাধিক মৃত্যুর পরদিনও নগরের রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের কমতি নেই। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের ৮ম দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট দেখা গেছে।

কর্মীদের অফিস যাতায়াতের জন্য কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা করেছে। ভাড়া করা বড় বাসও রয়েছে এ তালিকায়। যাদের অফিসের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা নেই তারা কেউ রিকশা, কেউ মোটরসাইকেলে, কেউ হেঁটে অফিস যাতায়াত করছেন। অবশ্য বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়ি।

দেখা গেছে, লকডাউনের দিন যতই বাড়ছে ততই মানুষের ঘরের বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। প্রয়োজন না থাকলেও কেউ কেউ নানা অজুহাত দিয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা সরজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে তৎপর দেখা গেছে।

শ্যামলী থেকে মতিঝিল পযন্ত বেশ কয়েক জায়গায় পুলিশের চেক পোষ্ট রয়েছে। সেখানে ব্যাক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাস থামিয়ে ভেতরে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ। সন্তোষজনক কারণ বলতে না পারলে সেইসব যানবাহন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, অন্যান্য দিনের তুলনায় ব্যাক্তিগত গাড়ীর চেয়ে প্রধান সড়কে রিকশার প্রাধান্য বেশী দেখা গেছে।

বিভিন্ন চেকপোস্টে দেখা যায়, ছোট-বড় প্রতিটি গাড়িকেই চেকিংয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে যেতে দেওয়া হচ্ছে, অন্যথায় মামলা করা হচ্ছে। ফলে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে ওই রাস্তায়, একই কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

রাজধানীর শ্যামলী, মোহাম্মদ পুর ঘুরে দেখা যায়, প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে। এমনকি ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলও যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, কাকরাইল, পল্টন, মতিঝিল এলাকায়ও একই দৃশ্য দেখা গেছে।

বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা রসেল মন্ডলের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি মোটরসাইকেলে করে সহকর্মীসহ মতিঝিল যাচ্ছিলেন, চেকপোস্টে তাদের থামানো হয়। তিনি বলেন, আমি অফিসের প্রয়োজনে বের হয়েছি। রাস্তায় গনপরিবহন না থাকায় আমার সহকমীসহ দু’জন মোটরসাইকেলে চড়ায় জরিমানা গুনতে হয়েছে। দায়িত্বরত ট্রাফিক মামলা দিয়েছে।

মিরপুরের বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা মো.বাপ্পী রিকশায় করে যাচ্ছিলেন পরিবারের জন্য বাজার করতে। মিরপুর ১ নম্বর চেকপোস্টের সামনে তাকে থামানো হয়। তিনি বলেন, কর্তব্যরত পুলিশ জানতে চাইলে বললাম বাজারে যাচ্ছি। পুলিশ তখন রিকশা থেকে নামিয়ে বাসায় ফিরে যেতে বললেন।