লাশ শনাক্তে ৪৫ জন স্বজনের নমুনা সংগ্রহ

লাশ শনাক্তে ৪৫ জন স্বজনের নমুনা সংগ্রহ

রূপগঞ্জের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের লাশ শনাক্তের জন্য ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে।

শনিবার (১০ জুলাই) বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩২ মৃত ব্যক্তির জন্য ৪৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির (ফরেনসিক) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুনিরুজ্জামান মুনির।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৪৫ জন স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেতে অন্তত ২১ দিন সময় লাগবে। তারপর সেটি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গের সামনে আগামীকালও নমুনা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

রূপগঞ্জের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের লাশ শনাক্তের জন্য ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে। আজ শনিবার (১০ জুলাই) বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩২ মৃত ব্যক্তির জন্য ৪৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির (ফরেনসিক) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুনিরুজ্জামান মুনির।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৪৫ জন স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেতে অন্তত ২১ দিন সময় লাগবে। তারপর সেটি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গের সামনে আগামীকালও নমুনা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ঢামেক মর্গে স্থান সঙ্কুলানের কারণে মরদেহগুলো রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে রাখার জন্য পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে এই সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, ঢামেকের মর্গ থেকে ১৫ জনের লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং আটজনের লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক) রোমানা আক্তার জানিয়েছিলেন, নিহত শ্রমিকদের শনাক্তের জন্য তাদের স্বজনদের স্যাম্পল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এরপর এসব স্যাম্পলের প্রোফাইলিং করে নিহত শ্রমিকদের ডিএনএ'র সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। এরপর যাদের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচ করবে তাদের কাছে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

তিনি বলেন, স্যাম্পল নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বাবা-মাকে প্রথমে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বাবা-মা না থাকলে ভাইবোন, সন্তানদের অগ্রাধিকার দিয়ে স্যাম্পল সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ শনাক্ত করতে ২১ থেকে ৩০ দিন লাগবে বলেও জানান তিনি

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টায় সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুডস লিমিটের ছয় তলা একটি কারখানায় হঠাৎ আগুন লাগে। প্রায় ২৪ ঘণ্টার চেষ্টায় শুক্রবার (৯ জুন) বিকালে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নিচতলা, দোতালা, তৃতীয় ও চতুর্থ তলা থেকে একে একে উদ্ধার করা হয় ৪৮টি মৃতদেহ। আগুনে পুড়ে ছাড়খার হওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করতে উদ্ধার করা সেসব মৃতদেহ আনা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে।