প্রকৌশলীকে পেটালেন ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা


প্রকৌশল নিউজ :
প্রকৌশলীকে পেটালেন ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা

অভিযুক্ত সাবেক দুই ছাত্রলীগ নেতা

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী অনুজ কুমার দেকে ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লাঞ্ছিত প্রকৌশলী অনুজ কুমার দে নিজেই গণমাধ্যমকে এই অভিযোগ জানিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম আনন্দ।

জানা যায়, দরপত্রের ৩০ ভাগ মালামাল সরবরাহ করে শতভাগ সরবরাহের বিল দাখিল করেন ছাত্রলীগের এই দুই সাবেক নেতা। আর তাতে অনুমোদন না দেওয়ায় প্রকৌশলীর উপর নেমে আসে নির্যাতন।

প্রকৌশলীর অভিযোগ, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার কক্ষে প্রবেশ করে বিল অনুমোদনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা। সরবরাহকৃত মালামালের বাইরে বিল অনুমোদনে আপত্তি জানালে তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।

প্রকৌশলী অনুজ কুমার দে গণমাধ্যমকে বলেন, সংস্কার কাজের জন্য পাথর, বালি, জ্বালানী কাঠ, ব্যাগ ইত্যাদি ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। নিম্ন দরদাতা হিসেবে শাহীদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়। অথোরাইজড হিসাবে কাজ করে বারিকুল ইসলাম লিজন। গত ১৮ জুন মালামাল সরবরাহের শেষ তারিখ ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০ ভাগ মালামাল সরবরাহ করেছে।

যার মূল্য ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা হতে পারে। কিন্তু শতভাগ মালামাল সরবরাহের বিল দাখিল করে অনুমোদন এবং বিল প্রদানের জোর দাবি করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা লিজন। সরবরাহকৃত মালামালের বাইরে বিল অনুমোদন সম্ভব না বলে জানালে লিজন ও আনন্দ প্রকৌশলী অনুজ কুমার দে এর উপর মানষিক চাপ সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে তুই দারা তুকারি করে কথা বলে। ক্ষুব্ধ হয়ে লিজন আমাকে আমার কক্ষেই মারধর করে। এ সময় চিৎকার করলে অফিসের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে লিজন জানান, বেশ কিছুদিন থেকে সরবরাহকৃত মালামালের বিল না দিয়ে ঘোরাচ্ছে। জুন ক্লোজিং শেষ হয়ে যাচ্ছে বিলটা তাড়াতাড়ি দেবার দাবি জানানোতে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, মারধরের বিষয়ে শুনেছি। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

মেহেরপুর সদর থানার এসআই অর্জুন বলেন, খবর পেয়ে আমরা সড়ক বিভাগে গিয়েছিলাম। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআর