রংপুর চিড়িয়াখানার একমাত্র বাঘিনীর মৃত্যু


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
রংপুর চিড়িয়াখানার একমাত্র বাঘিনীর মৃত্যু
  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানার খাঁচাবন্দি থাকা ‘শাওন’ নামে বাঘিনীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একমাত্র বাঘিনীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এর আগে শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, খাঁচায় একটি মাত্র বাঘিনী ছিল। এই বাঘিনীকে শাওন নামে ডাকা হতো। ২০১০ সালে রংপুর চিড়িয়াখানায় শাওনকে আনা হয়। এটির জন্ম ২০০৩ সালের ৩০ জুন। বয়স হয়েছিল ১৮ বছর ৭ মাস। মৃত্যুর আগে কোনো রোগে আক্রান্ত ছিল না।

চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বর আলী তালুকদার বলেন, শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাঘিনীটি মারা যায়। মূলত, বার্ধক্যের কারণে প্রাণীটি মারা গেছে। তবে অনেকেই মনে করছেন, মাঘের শীত আর বৃষ্টিতে বয়স্ক বেঙ্গল টাইগারটি অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচা শূন্য রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বেঙ্গল টাইগারটির বয়স বেশি হয়েছিল। বাঘ সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বাঁচে। সে অনুযায়ী বার্ধক্যের কারণে বাঘিনীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতেই ময়নাতদন্ত শেষে চিড়িয়াখানাতেই পরিবেশসম্মতভাবে বাঘিনীকে মাটিতে পোঁতা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে দুটি সরকারি চিড়িয়াখানার মধ্যে রংপুর একটি। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে রংপুর নগরীর হনুমানতলা এলাকায় ১৯৮৯ সালে রংপুর চিড়িয়াখানাটি গড়ে ওঠে। এটি দর্শনার্থীদের জন্য ১৯৯২ সালে খুলে দেওয়া হয়। প্রায় ২২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানাটিতে ৩৩ প্রজাতির ২৬০টি প্রাণী রয়েছে। এরমধ্যে সিংহ, বাঘ, জলহস্তী, হরিণ, অজগর সাপ, ইমু পাখি, উটপাখি, বানর, কেশওয়ারি, গাধা, ঘোড়া, ভাল্লুক উল্লেখযোগ্য।