অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যয় দখলদারের দিতে হবেঃ সংসদীয় কমিটি


প্রকৌশল নিউজ:
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যয় দখলদারের দিতে হবেঃ সংসদীয় কমিটি
  • Font increase
  • Font Decrease

নদীর নাব্যতা ও নদীর জায়গা দখল রোধে নতুন সিদ্ধান্তে এসেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটি বলছে, নদী তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি উচ্ছেদের ব্যয় দখলদারের কাছ থেকে আদায় করতে হবে। 

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশে জমাট বাধা পলিথিন দ্রুত অপসারণ করার জন্য বলেছে কমিটি। গ্রেভ ড্রেজার সংগ্রহ করে জরুরী ভিত্তিতে এ কার্যক্রম শুরু করার জন্য সুপারিশ করা হয়।

সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়, বৈঠকে নদী রক্ষা কমিশন এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) উচ্ছেদ অভিযানে আর্থিক ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

এ বিষয়ে কমিটির সদস্য শাজাহান খান বলেন, কমিটি উচ্ছেদের ব্যয় দখলদারদের কাছ থেকে আদায় করতে বলেছে। উদ্ধার করা জমি যাতে আবার দখল না হয় উদ্ধারের পরপরই সেই জমিতে বনায়ন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, উদ্ধারের পর জমি আবার বেদখল হয়ে যায়। এ অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। বনায়ন করা হলে দখল করতে পারবে না। সেজন্য আমি এই প্রস্তাব দিয়েছি।

বৈঠকে নদী রক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত উনিশ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কমিটি নদীর সীমানার মধ্যে সরকারি-বেসরকারি কোন সংস্থার কাছে জমি বরাদ্দ-লিজ না দেওয়ার কথা বলেছে। এছাড়া নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজে সহযোগিতা করার জন্য হাইকোর্ট ডিভিশন যাতে নদী দখলদারদের আপিল দ্রুত নিষ্পত্তি করে সে বিষয়ে নদী রক্ষা কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে বিআইডব্লিউটিএর অনুমতি ছাড়া যেখানে সেখানে ড্রেজিং না করা জন্য কমিটি সুপারিশ করে। কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শাজাহান খান, রনজিত কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, আছলাম হোসেন সওদাগর এবং এস এম শাহজাদা বৈঠকে অংশ নেন।