কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাধা দূর করতে কাজ করছে সরকার কৃষিমন্ত্রী


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাধা দূর করতে কাজ করছে সরকার কৃষিমন্ত্রী
  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ইউরোপসহ উন্নত দেশে ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা দূর করতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, ইউরোপ,জাপানসহ উন্নতদেশ সমূহের মূল বাজারে আমরা কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে চাই।  সেজন্য, রপ্তানি বাধা দূর করতে ইতোমধ্যে দেশে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (গ্যাপ) বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। দেশে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব ছিল না, আমরা সেটি স্থাপন করেছি। সেখান থেকে থেকে সনদ দেয়া শুরু হয়েছে। আম রপ্তানির জন্য ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে।

শনিবার সকালে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কৃষিপণ্যের রপ্তানি সহায়ক বিএডিসির হিমাগার পরিদর্শন শেষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকারের সভাপতিত্বে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আসাদুল্লাহ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

মন্ত্রী বলেন, আমাদের রপ্তানি মূলত গার্মেন্টস নির্ভর। শুধু গার্মেন্টস নির্ভর থাকলে হবে না; বরং রপ্তানিকে বহুমুখী করতে হবে। সেটি করতে হলে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে। 

কৃষিপণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কৃষিপণ্য মাঠে উৎপাদন থেকে শুরু করে শিপমেন্ট পর্যন্ত নিরাপদ রাখতে কাজ চলছে। পাশাপাশি কৃষিপণ্য পরিবহন ও সংরক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধিতেও গুরুত্ব সহকারে কাজ চলছে।

কৃষিপণ্যের রপ্তানির জন্য বিমানবন্দরে বিএডিসির হিমাগারের সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে বলেও  জানান।

উল্লেখ্য, ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানির সময় বিমান বন্দরে কার্গো হ্যান্ডেলিং, স্পেস ও কার্গো ভাড়া প্রভৃতি বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ফলমূল ও শাকসবজি রপ্তানিকারক প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়গুলোকে কৃষিপণ্যের জন্য আরও রপ্তানিবান্ধব ও সহজতর করতে কাজ চলমান আছে।