প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুক্তিপন আদায় : প্রতারক চক্র গ্রেপ্তার


প্রকৌশল প্রতিবেদক:
প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুক্তিপন আদায় : প্রতারক চক্র গ্রেপ্তার
  • Font increase
  • Font Decrease

এক ভুক্তভোগী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে জানিয়েছে, মুক্তিপন আদায় করেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে আইটি সেকশনে কাজ করেন। প্রথমে অনলাইনে তার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে প্রতারক চক্রের এক নারী। প্রেম ও দৈহিক সম্পর্কের লোভ দেখিয়ে তাকে ডাকা হয় ধামরাইয়ের একটি বাড়িতে। সেই নারীর সাথে সময় কাটাতে তিনি সেখানে যাওয়া মাত্রই তাকে আটকে ফেলা হয়। একই চক্রের কয়েকজন পুরুষ জোরপূর্বক তার কিছু স্পর্শকাতর ছবি তুলে ও ভি‌ডিও ক‌রে রাখে। তাদের চাহিদা মতো টাকা না দিলে লোকটির পরিবারের কাছে ছবি ও ভিডিওগুলো পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। মানসম্মানের ভয়ে নিতান্ত বাধ্য হয়েই প্রতারক চক্রকে তাৎক্ষ‌নিকভা‌বে বিকা‌শের মাধ্য‌মে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপন হিসেবে দিতে হয়। 

শনিবার বাংলা‌দেশ পু‌লিশের এআই‌জি (মি‌ডিয়া এন্ড পাব‌লিক রি‌লেশন্স) মো. সো‌হেল রানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লোকটিকে ছেড়ে দেয়ার পরও নানাভাবে তাকে হয়রানি করছিল এই চক্রটি। ভুক্তভোগী বিষয়টি তার পরিবার ও নিকটজনদের কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছিল। পরবর্তীতে মানসিক যন্ত্রনা ও পীড়নের কারণে সে উপায় খুঁজছিল এই চক্রটিকে কিভাবে আইনের আওতায় আনা যায়। এরই মধ্যে পত্রিকায় কোনো একটি সংবাদে সে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং সম্পর্কে জানতে পারে। তাই, সে মিডিয়া উইংকে বার্তা পাঠিয়ে তাদের সহযোগিতা চায়। 

বার্তা পেয়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং আশুলিয়া থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামানকে এ বিষয়ে সম্ভাব্য সকল তথ্য সরবরাহ করে প্রতারক চক্রটিকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে নির্দেশনা দেয় এবং ঢাকা জেলার অতিঃ পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহীল কাফীকে সার্বিক কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়। ইন্সপেক্টর অপা‌রেশন্স আব্দুর রাশিদ এবং সাব-ইন্সপেক্টর মো: ইকবাল হোসেন এর নেতৃত্বে একটি টিম এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে মাঠে নামে। প্রযুক্তির সহায়তা এবং অনুসন্ধানী নানা কৌশল ব্যবহার করে এই চক্রের এক নারী সহ মোট চার জনকে ৪ জুনঁ বিকেলে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। চক্রের অপর এক সদস্যকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস