ফেসবুক স্ট্যাটাস : আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের জিডি


প্রকৌশল প্রতিবেদক:
ফেসবুক স্ট্যাটাস : আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের জিডি
  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুলের ফেইসবুক পোস্ট ‘জঙ্গিবাদে উসকানি’ দিয়েছে অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের এক নেতা মামলার আবেদন করলে পুলিশ তা সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করেছে।

বুধবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক মো. নাহিদ হাসান শাহিন এই অভিযোগ দায়ের করেন।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদূদ হাওলাদার জানান, “অভিযোগটি ডিজি (সাধারণ ডায়েরি) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেহেতু অভিযোগটি সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত, তাই ডিবির সাইবার বিভাগের মতামত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

আফগানিস্তানে তালেবান নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগানদের কাবুল বিমানবন্দরের দৃশ্যের ঘটনার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার দুপুরে আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে লেখেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কাবুল বিমানবন্দর ধরনের দৃশ্য বাংলাদেশেও হতে পারে।’

এই স্ট্যাটাস ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি, সুনাম ও দেশের আইন শৃঙ্খলা অবনতি ঘটাইতে পারে’ উল্লেখ করে মামলার অভিযোগপত্রে নাহিদ হাসান শাহিন বলেন, “তার স্ট্যাটাসটি শুধু রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নয় বরং আক্রমনাত্মক তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াইয়া আইন শৃঙ্খলার অবনতি করিয়া সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে তরুণ সমাজকে জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ করিতে ও দেশের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করার মাধ্যমে শান্তি বিনিষ্ট করিয়া বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার সহায়ক।”

এর আগে আসিফ নজরুলকে ‘জঙ্গিবাদের মদদদাতা’ আখ্যায়িত করে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স এনেক্স ভবনে গিয়ে তার তালাবদ্ধ কক্ষে আরও তিনটি তালা লাগিয়ে দেয়।

এই শিক্ষকের কক্ষের দরজার সামনে ‘দেশদ্রোহী’, ‘জঙ্গিবাদের মদদদাতা’ ও ‘জামাত-শিবিরের এজেন্ট’ লেখা পোস্টারও সাঁটিয়ে দেয় তারা।

একই ঘটনায় বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আসিফ নজরুলের কুশপুতুল পোড়ায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা। এই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তারা।

তালা দেওয়ার ঘটনায় ‘হতবাক’ হওয়ার কথা জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ভিন্নমত কারও থাকতেই পারে। কিন্তু এই ধরনের প্রতিক্রিয়ার কারণ তিনি বুঝতে পারছেন না।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস