পুলিশ খুঁজে দিলো শিশুদের বাবা-মাকে


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
পুলিশ খুঁজে দিলো শিশুদের বাবা-মাকে
  • Font increase
  • Font Decrease

পথ হারিয়ে দিশেহারা ছোট্ট দুটি শিশু, আসিফ ও আলিফ। একজনের বয়স (৩) ও আরেক জনের বয়স (৪)। তাদের সাথে নেই পিতা-মাতা বা অন্য কোন অভিভাবক। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডেমরা থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় পথ হারিয়ে যাওয়া দুই শিশুকে ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তাদের পিতা-মাতা।

রোববার সকাল ১০ টার দিকে মোঃ রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি রাজধানীর ডেমরা থানার গলাকাটা এলাকা থেকে পথ হারিয়ে যাওয়া ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্নারত শিশু দুটিকে উদ্ধার করে ডেমরা চৌরাস্তা এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের নিকট নিয়ে যায়।

ট্রাফিক-ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ ইমরান হোসেন মোল্লা জানান, ট্রাফিক পুলিশ দুই শিশুকে হেফাজতে নেন। বৃষ্টি ভেজা ও কান্নারত শিশুরা তাদের নিজেদের নাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা কিছুই বলতে পারছিলো না। তাদের মধ্যে একজনের গায়ে ছেড়া-ময়লা একটি গেঞ্জি পরা ছিলো এবং অপর শিশু কোনো জামা ছিলো না। ট্রাফিক পুলিশ শিশু দুটোর জন্য নতুন জামা কিনে আনেন এবং শিশু দুটিকে পরিয়ে দেন। এরপর, চিপস, চকোলেট ও কিছু খাবার কিনে দিয়ে শিশু দুইটির কান্না থামানো হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় রফিকুলের মাধ্যমে তাদেরকে ডেমরা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় মোঃ রফিকুল ইসলাম পথ হারা শিশু দুইটিকে থানায় নিয়ে আসেন। শিশু দুইটির পিতা-মাতার সন্ধানের জন্য পার্শ্ববর্তী থানা সমূহে বেতার বার্তা প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও  শিশু দুইটিকে উদ্ধারকৃত স্থানের আশপাশ এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরবর্তীতে তাদের পিতা-মাতা খবর পেয়ে থানায় হাজির হয়। ডেমরা থানা পুলিশ পরিচয় নিশ্চিত করার পর শিশু দুইটিকে মোঃ সবুজ এর হেফাজতে প্রদান করা হয়।

শিশু দুইটি তাদের পিতা-মাতার সাথে ডেমরা থানার বক্সনগর এলাকায় থাকত। খেলাধুলা করতে করতে শিশু দুইটি বাসা হতে বের হয়ে গলাকাটা এলাকায় চলে আসে মর্মে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।

হারিয়ে যাওয়া আসিফের পিতা মোঃ সবুজ বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে ডিএমপি নিউজকে বলেন, “পুলিশ যে সাহায্য করেছে তার জন্য সত্যিই আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ, মানবিক এই পুলিশ কর্মকর্তা আমার হারিয়ে যাওয়া শিশুকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। এটা সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মতোই।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস