ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ফেলোশিপ পেলেন চার গণমাধ্যমকর্মী


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ফেলোশিপ পেলেন চার গণমাধ্যমকর্মী
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাংবাদিক ফেলোশিপ পেলেন আমাদের অর্থনীতির স্টাফ রিপোর্টার মো. আখতারুজ্জামানসহ চার গণমাধ্যমকর্মী। অন্যরা হলেন মাসুদ রুমী (কালের কণ্ঠ), ডলার মেহেদী (৭১টিভি) ও জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না (আমাদের নতুন সময়)। 

৭ জুলাই এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে ফেলোশিপ প্রাপ্ত চারজন গণমাধ্যমকর্মীর নাম ঘোষণা করা হয়। ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সাংবাদিক ফেলোশিপের বিজয়ী ঘোষণা এবং পুরষ্কার প্রদানের ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে ফেলোশিপ প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ইকোনমিক রিপোর্টাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল ইসলাম। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ফেলোশিপের উপর বিশেষ প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মো. শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ফেলোশিপ প্রাপ্ত চার গণমাধ্যমকর্মী ছাড়াও অংশগ্রহণকারী অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীগণও উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন ফেলোশিপ প্রাপ্তদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশের আহবান জানান। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা হলেন সমাজের দর্র্পণ। তারাই পারেন মানুষকে ভালো-মন্দের ব্যাপারে সচেতন করতে। তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে সাংবাদিকরা তাদের লেখনির মাধ্যমে যত লিখবেন, মানুষজন ততই উপকৃত হবেন। আমি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনকে ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশে তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় গণমাধ্যমকর্মীদেরকে ফেলোশিপ দেবার জন্য।

অনুষ্ঠানে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, করোনাকালে সাধারণ মানুষদেরকে সচেতন করেছে সাংবাদিকরা। তামাকবিরোধী কার্যক্রমে আগামীতেও সাংবাদিকদের লেখনির ফলে জনমত গড়ে উঠবে ও সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আইনের সংশোধন জরুরী- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ফেলোশিপ প্রদানের লক্ষে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছ থেকে আবেদন আহবান করা হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর ২৫ জন গণমাধ্যমকর্মী কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে থেকে ১৪ জনের মোট ২১ প্রতিবেদন প্রকাশিত বা  প্রচারিত হয়। এই ২১ প্রতিবেদনের ভেতর থেকে ৪টি প্রতিবেদনকে সেরা হিসেবে বাছাই করে প্রতিবেদককে ফেলোশিপ প্রদান করা হলো। ফেলোশিপপ্রাপ্তরা পুরস্কার হিসেবে সনদপত্রের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে সম্মানী পাবেন। 
এছাড়া প্রতিবেদন জমা প্রদানকারী অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরাও সনদপত্র পাবেন বলে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের পক্ষ থেকে জানা গেছে।