জিডিপি কমবে বাংলাদেশের, পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
![জিডিপি কমবে বাংলাদেশের, পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের](/uploads/images/2021/03/image_750x500_60648dccc71cd.jpg)
চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, এ বছর জিডিপি হবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে জিডিপির এ পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের জন্য সরকার সাড়ে ৭ শতাংশের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
বিশ্বব্যাংক মনে করছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী দিনেও উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
সংস্থাটি বলছে, মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি নির্ভর করবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য কেমন থাকে, তার ওপর।
বিশ্বব্যাংক আরও বলেছে, মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে পারলে এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক করা সম্ভব হলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে।
পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অর্থনীতিতে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশেষ করে বিনিময় হারকে ধরাবাধার বাইরে রাখা, মুদ্রানীতি আধুনিক করা এবং রাজস্ব খাতের সংস্কারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, অর্থনীতিতে এখন বিভিন্ন ধরনের বাধা কাজ করছে। ফলে ঝুঁকিও ক্রমশ বাড়ছে।
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং টাকার অবমূল্যায়নের কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে। মানুষের ভোগও চাপের মুখে পড়েছে। এ ছাড়া মজুরি বাড়ার তুলনায় খাবারের দাম বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে মুদ্রানীতির কার্যকর ব্যবহারের ওপর জোর দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সুদের হারের সীমা পর্যায়ক্রমে তুলে দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যাংক খাতের কার্যকর তদারকির মাধ্যমে আর্থিক খাতের ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশে ২০২৫ সালে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে ৬ দশমিক ৩ ও মালদ্বীপে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় প্রবৃদ্ধি ছিল নেতিবাচক মায়নাস ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালে দেশটি ঘুরে দাড়াবে, প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।