দৃষ্টিশক্তি ও যৌনক্ষমতা বাড়ায় আম, দূরে থাকে ক্যান্সার


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
দৃষ্টিশক্তি ও যৌনক্ষমতা বাড়ায় আম, দূরে থাকে ক্যান্সার
  • Font increase
  • Font Decrease

আম ছাড়া বাঙালির গ্রীষ্ম অসম্পূর্ণ। গত চার হাজারেরও বেশি বছর ধরে বাঙালি তথা ভারতীয় তথা দক্ষিণপূর্ব এশিয়া সংস্কৃতির অঙ্গ। সুস্বাদু আমের স্বাস্থ্যগুণও অনেক। আসুন, দেখে নিই ফলের রাজা আমের গুণাগুণ।

কাঁচা বা পাকা দুই ধরনের আমই শরীরের জন্য ভালো। কাঁচা বা পাকা যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন, আম সব বয়সী মানুষের শরীরের জন্য ভালো। আমের আঁশে কিছু উপাদান, যেমন ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, আছে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম। এ ছাড়া আমে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোয়েডস উপকারী ব্যাকটেরিয়া আছে; আছে বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন ই, সেলেনিয়াম এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড, যেমন টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড। ভিটামিন এ, প্রোটিনসহ আরও অন্যান্য উপাদানও থাকে। ১০০ গ্রাম কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে।

১. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর আম ক্যানসার থেকে আমাদের শরীরকে দূরে রাখে। কোলন ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার, প্রস্টেট ক্যানসার এবং লিউকেমিয়ার মতো রোগের আশঙ্কা কম করে।

২. ভিটামিন সি, ফাইবার ও পেক্টিনের মতো উপাদানে সমৃদ্ধ আম নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল।

৩. আম খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। নিখুঁত, দাগহীন ত্বক পেতে আম জুড়িহীন।

৪. পুষ্টিবিদদের পরামর্শ মতো খেলে ওজন কমাতেও কার্যকর হতে পারে আম। ভিটামিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ আমে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। ক্ষয় হয় অবাঞ্ছিত ক্যালরি। ফলে ভারী চেহারা হলেও ডায়েট মেনে আম্রসেবন ক্ষতিকারক নয়।

৫. আমকে বলা হয় প্রেমের ফল। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ফল যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৬. ভিটামিন এ আমের অন্যতম উপাদান। ফলে আম খেলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয়। রাতকানা এবং শুষ্ক চোখের সমস্যাও দূর করে আম।

৭. আমের এনজাইম ও ফাইবার হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। যকৃতের সমস্যাও দূর করে।

৮. ‘সুপারফ্রুট’ আম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৯. স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও আম কার্যকর। উপাদানের দিক দিয়ে আম আয়রনের ভাণ্ডার। এর ফলে অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। শরীরে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখতে মহিলাদের ডায়েটে আমের উপস্থিতি বাঞ্ছনীয়।

কোন সময় খেলে ভালো
মানুষ আম খাওয়ার জন্য রাতকে বেছে নেয়; অথচ ওটাই আম খাওয়ার খারাপ সময়। সকাল থেকে বিকেল—যেকোনো সময় আম খাওয়া যায়। আম সলিড খাবার ভাত-রুটি খাওয়ার আগে খেতে পারলে ভালো। জুস খেলে পরেও খাওয়া যাবে। তবে কাঁচা আম কোনো অবস্থায় দুপুরের পর খাওয়া ঠিক না।