ন্যাটোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়লেন জেলেনস্কি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ন্যাটোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়লেন জেলেনস্কি
  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনে ‘নো ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠার দাবি প্রত্যাখ্যান করায় সামরিক জোট ন্যাটোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝেড়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

এর আগে, ইউক্রেনের ‘নো ফ্লাই জোন’ প্রস্তাব নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে এমনটা করা হলে গোটা ইউরোপজুড়ে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে নিজের ক্ষোভের কথা জানান তিনি। খবর বিবিসির। ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের বিবৃতি জানার পর পরই জেলেনস্কি এ নিন্দা জানান।

ইউক্রেনে ‘নো ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠার আবেদন প্রত্যাখ্যান করার যে পদক্ষেপ ন্যাটোর নেতারা নিয়েছেন তার নিন্দা জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেন, আজ থেকে যারা নিহত হবেন তাদের মৃত্যুর কারণ আপনারা। এগুলো ঘটবে আপনাদের দুর্বলতা ও বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে।

তিনি বলেন, যে ন্যাটো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো আজ তা ছিল খুবই দুর্বল ও বিভ্রান্ত। এ সম্মেলন স্পষ্ট করল যে, সবাই ইউরোপের স্বাধীনতার জন্য লড়াইকে এক নম্বর লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করে না।

‘ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর গোয়েন্দারা শত্রুদের পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত। তারা নিশ্চিত করেছেন, রাশিয়ার এ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়’, যোগ করেন জেলেনস্কি।

তিনি আরও বলেন, ন্যাটো সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ইউক্রেনের আকাশ বন্ধ করবে না। যদি এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তবে তা রাশিয়াকে ন্যাটোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উসকে দেবে।

জেলেনস্কি বলেন, এটি তাদের দুর্বলতা ও ভেতর থেকে নিরাপত্তাহীনতাকে তুলে ধরে। যদিও তাদের হাতে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, যদি ইউক্রেন না বাঁচে তাহলে পুরো ইউরোপ বাঁচবে না। যদি ইউক্রেনের পতন হয় তবে পুরো ইউরোপের পতন হবে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ন্যাটো মূলত নো ফ্লাই জোন নিয়ে ভাবছেন না। কারণ, ইউক্রেন কিংবা রাশিয়া কেউই ন্যাটোভুক্ত দেশ নয়। এছাড়া নো ফ্লাই জোন ঘোষণার আরেক অর্থ হলো রুশ যুদ্ধবিমানে ন্যাটোর হামলা। যা করা হলে পরমাণু শক্তিধর রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

এদিকে ব্লিনকেন জানিয়েছেন, তিনি মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাবেন, যেন তারা রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট সমর্থন পায়।