বাড়ীর কথা জানালেন বিআইডব্লিউটিএ এর সাবেক কর্মকর্তা শহিদুল


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
বাড়ীর কথা জানালেন বিআইডব্লিউটিএ এর সাবেক কর্মকর্তা শহিদুল

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) হাইড্রোলিক বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের উঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। তবে, বাইতুল আমান হাউজিং এ একটি বাড়ী ও মোহাম্মদপুরে একটি বাড়ী আছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শহিদুল ইসলাম বিআইডব্লিউটিএ তে চাকুরী করার সময় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে নানান অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, তিনি চাকুরীরত অবস্থায় তার ক্ষমতার অবৈধ্য অপব্যবহার করে ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিংয়ে একটি সাত তালা বিলাশবহুল বাড়ি করেছেন। এছাড়া, বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটিতে ৩ তালা বাড়ী ও বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নানাভাবে কাজ পাইয়ে দিতে নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন। আবার চাকুরীরত অবস্থায় তার অবৈধ্য আয়ের সম্পদ দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে দিয়েছেন। 

অভিযোগে উল্লেখিত সম্পদ নিজের বলে স্বীকার করেন শহিদুল ইসলাম। তিনি প্রকৌশল নিউজকে বলেন,  আমি সব কিছুর কাগজপত্র দুদকে দিয়েছি, এসবের হিসাব ইনকাম ট্যাক্সে এর রির্টানে সবকিছু আছে। কে বা কাহারা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে, আমি দুদককে চ্যালেঞ্জ করে বলেছি, আমার যদি অবৈধ্যভাবে কোন কিছু করে থাকি তবে তারা (দুদক) তদন্ত করে বের করবে।

তিনি আরো বলেন, আমার ৩৭ বছরের চাকুরী জীবনে আমার নামে কোন অভিযোগ নাই। তিনি বাইতুল আমান হাউজিং এ একটি বাড়ী ও মোহাম্মদপুরে একটি বাড়ীর কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, এগুলো আমি কিভাবে করেছি তা দুদককে কাগজ দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এতো ‘এতো মানুষ এতো কিছু করে তাদের কিছু হয়না। আর আমার এই বাড়ীর কথা দুদকে যায়।’ 

তিনি আরো প্রশ্ন তোলেন, আমার এই দুইটি সম্পদ ছাড়া আর কি আছে যেটা আপনি পাইছেন। অথচ তারা বলছে, ‘বিপুল’ সম্পত্তি। এটা কি বিপুল সম্পতি? আমার আড়াই কাঠা জমিতে ৭ তালা ভবন হইছে।

এসব টাকা পয়সা তিনি তার মামার সঙ্গে ব্যাবসার শেয়ার থেকে পাইছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।