নৌ সেক্টর উন্নত করতে অবকাঠামো ও জলযান উদ্বোধন


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
নৌ সেক্টর উন্নত করতে অবকাঠামো ও জলযান উদ্বোধন
  • Font increase
  • Font Decrease

নৌ সেক্টরের উন্নয়নে নতুন মাত্রা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ উদ্বোধন করেন। সেখানে অবকাঠামো ও জলযানের মধ্যে রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ’র ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার, ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান, প্রশিক্ষণ জাহাজ ‘টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই)’, বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ ‘পরিদর্শী’, নবনির্মিত নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেইজ; বিআইডব্লিউটিসির দুইটি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা আবাসন’ পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট মেরিন একাডেমি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন। বিআইডব্লিউটিএ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। 

এসব অবকাঠামো এবং জলযান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নৌ সেক্টরের উন্নয়নে নতুন মাত্রা সংযোজন করবে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে তৈরি ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজারসহ শতাধিক নৌযান একসঙ্গে উদ্বোধন বাংলাদেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ নদীর নাব্যতা রক্ষা, নৌপথ উন্নয়ন, উপকূলীয় এলাকার যাত্রী পরিবহন ও দক্ষ নৌকর্মী গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

সরকারের ঘোষিত ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননে সরকার বদ্ধপরিকর। এলক্ষ্যে ২০টি ড্রেজার এবং ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান প্রস্তুত করা হয়েছে। নৌপথ খনন ও নাব্যতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে ২০টি ড্রেজার বিআইডব্লিউটিএর বহরে যুক্ত হয়ে মোট ৪৫টি ড্রেজারের শক্তিশালী ইউনিট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বর্তমান মেয়াদে ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ও সি-ট্রাক বহরকে দক্ষ ও যুগোপযোগী করতে নবনির্মিত অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ নির্মাণ করা হয়েছে। জাহাজ দুইটি কুমিরা-গুপ্তছড়া এবং চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ-হাতিয়া-বরিশাল রুটে চলাচল করবে। এ জাহাজ দুইটির মাধ্যমে বছরে সাড়ে ছয় লাখ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে।