বাবার কাছেই থাকবে জাপানি দুই শিশু : হাইকোর্ট

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ইমরান শরীফ ও জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানোর দুই কন্যাশিশু বাংলাদেশে তাদের বাবার জিম্মায় থাকবেন বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় চাইলে জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানো দেখা করতে এবং তাদের সঙ্গে অবস্থান করতে পারবেন।

বাবার কাছেই থাকবে জাপানি দুই শিশু : হাইকোর্ট

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ইমরান শরীফ ও জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানোর দুই কন্যাশিশু বাংলাদেশে তাদের বাবার জিম্মায় থাকবেন বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় চাইলে জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানো দেখা করতে এবং তাদের সঙ্গে অবস্থান করতে পারবেন।

রোববার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ে আদালত বলেন, এ রিটটি চলমান থাকবে। দুই মেয়ে পাঁচ নম্বর বিবাদীর (ইমরান শরীফ) হেফাজতে থাকবে। মা দেখা সাক্ষাৎ এবং একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন। যেহেতু মা জাপানি নাগরিক এবং সেখানে বসবাস ও কর্মরত সে কারণে তিনি তার সুবিধা মতো সময়ে বাংলাদেশে এসে শিশু সন্তানদের সঙ্গে প্রতিবার কমপক্ষে ১০ দিন সময় কাটাতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বছরে তিনবার বাংলাদেশে যাওয়া আসাসহ ১০ দিন অবস্থানের যাবতীয় খরচ পাঁচ নম্বর বিবাদীকে বহন করতে হবে। এর বাইরে যাওয়া আসার খরচ দরখাস্তকারী (মা) বহন করবেন। ছুটির দিনে অন্তত দুইবার শিশুদের সঙ্গে ভিডিও কলে মাকে কথা বলিয়ে দেবেন। গত কয়েকমাসে বাংলাদেশে অবস্থান ও যাতাযাত খরচ বাবদ আগামী সাত দিনের পাঁচ নম্বর বিবাদী দরখাস্তকারীকে ১০ লাখ টাকা দেবেন। রিটটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদেশ প্রতিপালিত না হলে বা অন্য কোনো আদেশের জন্য আদালতে পক্ষগুলো আসতে পারবে। সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা কর্মকর্তা শিশুদের দেখভাল অব্যাহত রাখবেন। তাকে প্রতি তিন মাস পর পর শিশুদের বিষয়ে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার কাছে প্রতিবেদন দিতে হবে।

তবে জাপানে থাকা ছোট মেয়ে হেনাকে হাইকোর্টে হাজির করানোর নির্দেশনা চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।  

গত ৩১ অক্টোবর উভয়পক্ষের ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য ১৪ নভেম্বর দিন ঠিক করেছিলেন। কিন্তু ১৪ নভেম্বরের কার্য তালিকায় রায়ের জন্য পিছিয়ে ২১ নভেম্বর রাখায় হয়।

আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। এরিকো নাকানোর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।