মোংলায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত


মো. মাসুদ পারভেজ, বাগেরহাট প্রতিনিধি :
মোংলায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত
  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনে ”বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার” প্রতিপাদ্যে মোংলার সুন্দরবন উপকূলের তেলিখালি’র পশুর নদীর পাড়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং পশুর রিভার ওয়াটাকিপার র‌্যালী ও মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।

শনিবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর মোংলার আহ্বায়ক সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সুন্দরবনসহ প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র ধ্বংস করে শুধুমাত্র গাছ লাগালে পরিবেশ সুরক্ষা হবেনা। পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বাস্তুতন্ত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা সম্ভব। দেশের প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমি প্রতিবছর অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কা সামলাতে সামলাতে সুন্দরবন ও উপকূলের মানুষ দিশেহারা। পরের ঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস সামলাতে সুন্দরবন এবং উপকূলকে প্রস্তুত করতে হবে।

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাপা নেতা গীতিকার মোল্লা আল মামুন, গীতা হালদার, চিলা কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের নেতা মোঃ আলম গাজী, বিজন কুমার বৈদ্য, জাকির মোসাল্লী, হেম রায়, আলাউদ্দিন শেখ, গৌর রায়, ইশারাত ফকির।

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, মুনাফালোভী ব্যবসা-বাণিজ্য ও অপরিকল্পিত শিল্পায়নের কারণে সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদী দখল এবং দূষণ হচ্ছে। এর ফলে সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র হুমকিতে আছে। বক্তারা সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় বনবিনাশী সকল উন্নয়ন প্রকল্প বাতিল করার আহ্বান জানান।

সুন্দরবন সংলগ্ন চিলা ইউনিয়নের সাত গ্রামে সাতশো একর কৃষিজমিতে ড্রেজিংয়ের বালু ফেলে কৃষকদের জীবন-জীবিকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার যে সিদ্ধান্ত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়েছে তা থেকে সরে আসার আহ্বানও জানান। 

মানববন্ধনের আগে কৃষিজমি, সুন্দরবন ও উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি-নদ-নদী রক্ষা বিষয়ক দাবী লিখিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়।  

এদিকে পরিবেশ দিবসে সুন্দরবন সুরক্ষায় পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশন'র চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মনুষ্য সৃষ্ট নানা কারণে সুন্দরবনের একের পর এক বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এ ক্ষয়ক্ষতি থেকে বন রক্ষায় সরকারকে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।