ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নতুন অভিযান তুরস্কের


আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নতুন অভিযান তুরস্কের
  • Font increase
  • Font Decrease

ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক।

সোমবার তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি বলেছেন, উত্তর ইরাকে কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নতুন করে বিমান ও স্থল অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক। খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

হুলুসি আকর বলেন, ড্রোন ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার নিয়ে কমান্ডো ইউনিট ও বিশেষ ফোর্স অভিযানে অংশ নিয়েছে। তারা উত্তর ইরাকের মেটিনা, জ্যাপ ও আভাশিন-বাসিয়ান অঞ্চলে অবস্থান করা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) আস্তানা লক্ষ্যবস্তু করছে। তবে কি সংখ্যক সৈন্য এতে অংশ নিয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানাননি তিনি।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তুরস্কের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে পিকেকে। এমন খবরেরভিত্তিতে রোববার রাত থেকে অভিযান শুরু করা হয়।

এর আগে স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী মাসরুর বারজান তুরস্ক সফর করেন। এর দুইদিন পরই এমন অভিযানের খবর এল। তবে সফরের সময় আঙ্কারার পরিকল্পনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে সে সময় বৈঠক শেষে উত্তর ইরাকে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে সহযোগিতা সম্প্রসারণকে স্বাগত জানান তিনি।

প্রধানত ইরাক, ইরান, সিরিয়া ও তুরস্কে কুর্দি জনগোষ্ঠীর বসবাস। তাদেরই রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। যারা একটি স্বাধীন কুর্দিস্তানের স্বপ্ন দেখে। আঙ্কারার সঙ্গে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সংঘাত চলছে ১৯৮৪ সাল থেকে। এখন পর্যন্ত এই সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যে কুর্দিদের অবস্থান অনেক শক্তিশালী হয়েছে। পিকেকে সংগঠনকে তুরস্ক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। যদিও আইএসআইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পশ্চিমাদের বড় মিত্র ছিল কুর্দিরাই। আইএসআইএসের সঙ্গে লড়াইয়ে পশ্চিমা মিত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যাপক পরিমাণ সমরাস্ত্র পেয়েছে কুর্দিরা।

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান থামার কোনো লক্ষণ নেই। তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা কমিয়ে আনতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে তুরস্ক। এবার সেই মধ্যস্থতাকারী তুরস্কই তার পার্শ্ববর্তী ইরাকে সামরিক অভিযান শুরু করেছে।

জানা গেছে, তুরস্ক প্রায়ই ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে বিদ্রোহী পিকেকে গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে থাকে। কারণ তুরস্কের সীমান্তবর্তী ওই পাহাড়ি এলাকায় পিকেকের ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।